
রাতের বেলা রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে তালা দিতে গিয়েই চিন্তাটা মাথায় ঢোকে। সারাদিনের রান্নার পর বাকি থাকা মাংস, সবজি, সস—সব রাখার মতো জায়গা কি সত্যিই ঠিক আছে? ছোট চিলারে চেপে রাখলে ঠান্ডা থাকে না, নষ্ট হওয়ার ভয় লেগেই থাকে। তখনই মনে হয়, যদি একটু বেশি জায়গা আর নিশ্চিন্ত ভরসা মিলত। ঠিক সেই জায়গাতেই আসে কমার্শিয়াল সলিড ডোর চিলার
স্টেইনলেস স্টিলের বডি
হাত দিয়ে ছুঁলেই বোঝা যায়, এটা কোনো হালকা জিনিস না। কমার্শিয়াল কিচেনের ভীড়, ধাক্কা, ব্যস্ততা সব কিছু নীরবে সহ্য করে। মরিচা ধরে না, বাঁকেও না। দিনের পর দিন কাজ করেও পরিষ্কার থাকে। এমন শক্ত জিনিস পাশে থাকলে মনে একটা নিশ্চিন্ত ভাব আসে।
দুটি কম্প্রেসরের ভরসা
দুটি কম্প্রেসর একসাথে কাজ করে, যেন দুজন নির্ভরযোগ্য মানুষ। ক্লান্ত হয় না, অভিযোগ করে না। দরজা যতবারই খোলা হোক, ঠান্ডা ঠিকই থাকে। ব্যস্ত সময়েও খাবারের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হয় না।
দ্রুত ঠান্ডা করার ক্ষমতা
কখনো রান্নাঘরে এমন সময় আসে, সবকিছু দ্রুত ঠান্ডা দরকার। গরম জিনিস ভেতরে রাখার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাপমাত্রা ঠিক হয়ে যায়। মনে হয়, যন্ত্রটা বুঝি আপনার চাপটা বুঝতে পারছে।
বড় ও খাড়া স্টোরেজ জায়গা
দরজা খুললেই ভেতরের জায়গাটা চোখে পড়ে। সবকিছু আলাদা করে, সোজা করে রাখা যায়। মাংস, সবজি, সস—কিছুই এলোমেলো হয় না। মেঝের জায়গাও বাঁচে, কাজ করাও সহজ হয়।
নিজের মতো করে তাক বানানোর সুবিধা
এই চিলারের ভেতরের তাক আর দরজা আপনার কাজের ধরন অনুযায়ী বানানো যায়। কেউ দুই দরজা চান, কেউ তিন বা চার। ব্যস্ত রেস্টুরেন্টে ছয় দরজাও লাগে। দরকার হলে আরও বড়টাও বানানো যায়। ব্যবসার সাথে সাথে জায়গাটাও বড় হয়—এই ভাবনাটা শান্তি দেয়।
কম বিদ্যুৎ খরচ
মাসের শেষে বিলটা হাতে এলে মন খারাপ হয় না। কম বিদ্যুৎ খরচ করেও ঠান্ডা ঠিকই দেয়। শক্তি আছে, অপচয় নেই। ছোট বা বড় যে কোনো ব্যবসার জন্যই এটা একটা স্বস্তি।
শক্ত কনডেনসার ব্যবস্থা
ভেতরের কনডেনসারটা নীরবে কাজ করে যায়। গরম দিনে, বেশি চাপেও ঠান্ডা ঠিক রাখে। অতিরিক্ত গরম বা লোড নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হয় না। যেন একটানা ভরসা দিয়ে যাচ্ছে।
দুটি ডিজিটাল তাপমাত্রা মিটার
এক নজর তাকালেই বোঝা যায় ভেতরের অবস্থা। আন্দাজের দরকার নেই। খাবার নিরাপদ আছে কি না, সেটা চোখেই দেখা যায়। এই ছোট ব্যাপারটাই বড় ভরসা দেয়।
সহজে চলার জন্য চাকা সিস্টেম
ভারী জিনিস সরানো মানেই ঝামেলা। কিন্তু এই চিলারটা চুপচাপ গড়িয়ে যায়। পরিষ্কার করা বা জায়গা বদলানো সহজ হয়ে যায়। ছোট সুবিধা, কিন্তু কাজে অনেক। মোট চাকা কয়টা হবে সেটা নির্ভর করে আপনার চিলারের সাইজ কতটুকু হবে।
ব্যস্ত রান্নাঘরের জন্য তৈরি
এটা শুধু যন্ত্র না, যেন রান্নাঘরের একজন নীরব সঙ্গী। ভিড়, তাড়া, লম্বা সময় সব সামলে রাখে। খাবার ভালো থাকে, কাজের গতি ঠিক থাকে, মানুষের চাপ কমে।
বাংলাদেশে তৈরি
দেশের রান্নাঘরের কথা মাথায় রেখেই বানানো। গরম, লম্বা কাজের সময় সব সামলাতে পারে। যেহেতু দেশেই তৈরি, সার্ভিস আর যন্ত্রাংশ নিয়ে দুশ্চিন্তা কম। এই পরিচিত ভরসাটাই অনেক বড় কথা।
চলুন এইবার জেনে নেই কমার্শিয়াল চিলারের জন্য কিছু প্রশ্ন ও উত্তরঃ
কমার্শিয়াল আপরাইট সলিড ডোর চিলার কী?
এটা মূলত রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে, ক্যাটারিং কিচেন আর খাবারের ব্যবসার জন্য বানানো একটি শক্তপোক্ত খাড়া চিলার। সারাদিনের ব্যস্ততার মধ্যেও খাবারকে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ঠিকভাবে ধরে রাখে। দ্রুত ঠান্ডা করে এবং সেই ঠান্ডা ধরে রাখার ক্ষমতাও ভালো। শক্ত স্টেইনলেস স্টিলের দরজার কারণে বারবার দরজা খোলা বন্ধ হলেও ভেতরের ঠান্ডা সহজে বের হয় না। যারা নিয়মিত ব্যবসা করেন, তাদের জন্য এই চিলার ধীরে ধীরে দৈনন্দিন কাজের এক নির্ভরযোগ্য সঙ্গী হয়ে ওঠে।
বাংলাদেশে মানুষ কেন কমার্শিয়াল রেফ্রিজারেটর ব্যবহার করে?
বাংলাদেশের রান্নাঘর মানেই গরম, ভিড় আর চাপ। এই চিলার সেই চাপ সামলানোর জন্যই বেশি ব্যবহার করা হয়। এটি জায়গা কম নেয়, কিন্তু ভেতরে অনেক কিছু রাখা যায়। মাংস, মাছ, সবজি, সস বা তৈরি খাবার সব কিছু সারাদিন ভালো থাকে। শক্ত দরজার কারণে তাপমাত্রা নষ্ট হয় না। ক্লাউড কিচেন, বিরিয়ানি দোকান, ক্যাফে বা ক্যাটারিং ব্যবসায় খাবার নষ্ট কম হয়, কাজের গতি বাড়ে। এতে সময় বাঁচে, বিদ্যুৎও তুলনামূলক কম লাগে।
বাংলাদেশে সবচেয়ে ভালো রেস্টুরেন্ট ফ্রিজ সাপ্লায়ার কে?
বাংলাদেশে এই ধরনের রেস্টুরেন্ট ফ্রিজ কিনতে চাইলে নবারুন ইন্টারন্যাশনাল একটি ভরসার নাম। তারা ২০১৭ সাল থেকে নিয়মিত এই খাতে কাজ করছে। হাজারো গ্রাহক তাদের কাছ থেকে পণ্য নিয়ে সন্তুষ্টভাবে ব্যবহার করছেন। তারা নিম্নমানের মেশিন বিক্রি করে পরে ঝামেলায় ফেলেন না। পণ্য কিনলে ডেলিভারি, মান যাচাই আর পরের সাপোর্ট সবকিছু নিয়েই নিশ্চিন্ত থাকা যায়। একজন ব্যবসায়ী যে ভরসাটা চান, সেটাই তারা দেওয়ার চেষ্টা করে।
কোন কোন ভালো মানের উপকরণ দিয়ে এই চিলার বানানো?
এই চিলারের বাইরের শরীর ১.২ মিলিমিটার পুরু স্টেইনলেস স্টিল দিয়ে তৈরি, আর ভেতরের অংশ ০.৬ মিলিমিটার স্টেইনলেস স্টিলের। এই দুই ধরনের স্টিল মরিচা ধরে না এবং চুম্বক ধরে না, তাই রান্নাঘরের জন্য খুব উপযোগী। ভেতরের তাকগুলো শক্ত স্টেইনলেস স্টিলের রড দিয়ে বানানো। কুলিং সিস্টেমে ব্যবহার করা হয়েছে শিল্পমানের কপার পাইপ। এই সব উপকরণের কারণে চিলারটি দীর্ঘদিন টেকে, ঠান্ডা স্থির থাকে এবং খাবার রাখার পরিবেশ পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যসম্মত থাকে।
রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে ও ছোট ব্যবসার জন্য কি এই চিলার তৈরি?
হ্যাঁ, একদম সেই উদ্দেশ্যেই এই চিলার বানানো। রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে, বেকারি, ক্যাটারিং টিম, ক্লাউড কিচেন এমনকি স্ট্রিট ফুডের ব্যবসার কথাও মাথায় রাখা হয়েছে। খাড়া ডিজাইনের কারণে মেঝেতে জায়গা কম লাগে, কিন্তু ভেতরে জিনিস রাখার জায়গা বেশ থাকে। দুইটা কম্প্রেসর থাকার কারণে চাপের সময়ও দ্রুত ঠান্ডা দেয়। যারা দীর্ঘ সময় রান্নাঘর চালান, তাদের জন্য এটা সারাদিন স্থিরভাবে কাজ করে এবং খাবারের মান ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
এই চিলারটাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে কী?
এই মডেলের সবচেয়ে বড় আলাদা দিক হলো এর দুইটা ভালো মানের কম্প্রেসর আর শক্ত কনডেনসার ব্যবস্থা। পুরো শরীর স্টেইনলেস স্টিলের হওয়ায় টেকসই এবং পরিষ্কার রাখা সহজ। দ্রুত ঠান্ডা করার ক্ষমতা আছে, তাই দরজা বারবার খুললেও সমস্যা হয় না। ভেতরের তাপমাত্রা আলাদা করে দেখার জন্য দুইটা ডিজিটাল মিটার আছে, এতে আন্দাজ করতে হয় না। বিদ্যুৎও তুলনামূলক কম খরচ হয়। আমাদের দেশের গরম আর আর্দ্র আবহাওয়ার জন্য এই ডিজাইনটা খুবই মানানসই।
দিনে কত ঘণ্টা নিরাপদে চালানো যায়?
এই চিলার অনেকক্ষণ চালানোর জন্যই তৈরি। চাইলে টানা চালানো যায়, এমনকি ২৪ ঘণ্টাও। তবে যন্ত্র ভালো রাখতে মাঝে মাঝে অল্প বিরতি দিলে আরও ভালো থাকে। সাধারণত বেশিরভাগ রেস্টুরেন্ট দিনে ১০ থেকে ১৪ ঘণ্টা চালায়, যা একদম নিরাপদ এবং স্বাভাবিক ব্যবহার হিসেবে ধরা হয়। এতে মেশিনের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে না।
রান্নাঘরের কাজ কীভাবে সহজ করে?
এই চিলার থাকলে রান্নাঘরের কাজ অনেকটাই গুছানো হয়ে যায়। সব উপকরণ আলাদা করে, চোখের সামনে রাখা যায়। ব্যস্ত সময়ে ঠান্ডা ফিরে আসার জন্য অপেক্ষা করতে হয় না, সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় জিনিস নেওয়া যায়। খাবার নষ্ট কম হয়, ফলে প্রতিদিনের খরচও কমে আসে। কর্মীদের কাজের গতি বাড়ে, চাপ কমে। ধীরে ধীরে পুরো রান্নাঘরের কাজটাই সহজ হয়ে যায়।
এই চিলারে বিনিয়োগ করলে দীর্ঘমেয়াদে কী লাভ পাবো?
এই চিলারে বিনিয়োগের আসল লাভটা সময়ের সাথে ধরা পড়ে। প্রথমত, ঠান্ডা সবসময় একরকম থাকে, তাই খাবার নষ্ট হওয়ার হার অনেক কমে যায়। প্রতিদিন যে ছোট ছোট অপচয় হয়, সেটাই মাস শেষে বড় অঙ্কে দাঁড়ায় এই চিলার সেটা কমিয়ে দেয়। বিদ্যুৎ খরচও তুলনামূলক কম আসে, ফলে বিল নিয়ে চাপ থাকে না। যেহেতু পুরো শরীর স্টেইনলেস স্টিলের আর ভেতরে ভালো মানের কম্প্রেসর ব্যবহার করা হয়েছে, তাই বারবার নষ্ট হওয়ার ঝামেলা নেই। ব্যস্ত সময়ে চাপ কমে, কাজের গতি বাড়ে, খাবারের মানও ভালো থাকে। ধীরে ধীরে এই চিলারের দাম নিজেই উঠে আসে।
এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেফ্রিজারেটরের সাইজ ও জায়গার প্রয়োজন কতটুকু?
এই চিলারের বাইরের মাপ আনুমানিক ৭২ ইঞ্চি লম্বা, ৩০ ইঞ্চি চওড়া এবং ৭৮ ইঞ্চি উঁচু। খাড়া ডিজাইনের হওয়ায় মেঝেতে খুব বেশি জায়গা নেয় না, তাই বেশিরভাগ রেস্টুরেন্টের রান্নাঘরেই সহজে বসানো যায়। আকারে বড় হলেও নিচে চাকা থাকায় সরানো সহজ। পরিষ্কার করা বা জায়গা বদলানোতে আলাদা কষ্ট হয় না। শুধু সমতল মেঝে আর কাছাকাছি একটি ২২০ ভোল্ট বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলেই ব্যবহার করা যায়। আলাদা কোনো জটিল ইনস্টলেশনের দরকার পড়ে না।
চিলারটি কত দ্রুত ঠান্ডা হতে শুরু করে?
চালু করার পর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ঠান্ডা কাজ শুরু করে। দুইটি শক্তিশালী কম্প্রেসর আর ভারী কনডেনসার থাকার কারণে ভেতরের তাপমাত্রা দ্রুত নেমে আসে এবং স্থির হয়ে যায়। ব্যস্ত রেস্টুরেন্টে যখন হঠাৎ করে ঠান্ডা দরকার হয়, তখন এই সুবিধাটা অনেক কাজে আসে। এমনকি গরম খাবার বা উপকরণ ঢুকালেও তাপমাত্রা দ্রুত ঠিক হয়ে যায়, যা সাধারণ অনেক চিলারে সম্ভব হয় না।
প্রয়োজনে যন্ত্রাংশ কি সহজে পাওয়া যাবে?
হ্যাঁ, এই দিক থেকে নিশ্চিন্ত থাকা যায়। বেশিরভাগ প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ আমাদের স্টকেই রাখা থাকে। কোনো অংশ যদি সঙ্গে সঙ্গে না পাওয়া যায়, তাহলে সেটার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। কিছু অংশ স্থানীয়ভাবে বানানো যায়, আবার প্রয়োজন হলে বাইরে থেকে আমদানি করাও হয়। মূল লক্ষ্য একটাই যন্ত্রাংশের অভাবে যেন আপনার ব্যবসা একদিনও বন্ধ না থাকে।
ছোট ও বড় দুই ধরনের ব্যবসার জন্যই কি এটি উপযোগী?
এই চিলার ছোট ক্যাফে যেমন সামলাতে পারে, তেমনি বড় রেস্টুরেন্ট বা হোটেল কিচেনেও সমানভাবে কাজ করে। ভেতরের জায়গা বেশি, তাকগুলো শক্ত, আর ঠান্ডা দ্রুত হয়—এই তিনটা মিলেই সব ধরনের ব্যবসার জন্য উপযোগী। আপনি যদি ছোট একটি বিরিয়ানি দোকান চালান বা বড় ক্যাটারিং সার্ভিস করেন, এই চিলার আপনার দৈনন্দিন কাজের চাপ অনুযায়ী নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবে।
প্রথমবার চিলার কীভাবে চালাবো?
এই চিলার চালানো খুবই সহজ। প্রথমে ২২০ ভোল্টের সাধারণ বিদ্যুৎ লাইনে প্লাগ লাগাতে হবে। এরপর ডিজিটাল কন্ট্রোল থেকে প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা সেট করে দিতে হবে। প্রথমবার চালানোর সময় অন্তত ৩০ মিনিট খালি অবস্থায় ঠান্ডা হতে দেওয়া ভালো। এতে ভেতরের তাপমাত্রা ঠিকভাবে সেট হয়ে যায়। প্রথম এক ঘণ্টা দরজা বারবার খোলা এড়িয়ে চললে ঠান্ডা আরও ভালোভাবে ধরে। রান্নাঘরের সাধারণ অভিজ্ঞতা থাকলেই যে কেউ সহজে এটি চালাতে পারবেন, আলাদা কোনো টেকনিক্যাল জ্ঞান দরকার হয় না।
সার্ভিসিংয়ের জন্য কি নিজস্ব টেকনিশিয়ান আছে?
হ্যাঁ, আছে। নবারুন ইন্টারন্যাশনাল ২০১৭ সাল থেকে নিয়মিত গ্রাহকদের সেবা দিয়ে আসছে এবং তাদের নিজস্ব অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান টিম রয়েছে। ইনস্টলেশন, সার্ভিসিং বা যেকোনো সমস্যায় এই টিম সরাসরি সহায়তা করে। কোনো সমস্যা হলে আগে ফোনে বুঝিয়ে দেওয়া হয়, প্রয়োজনে আপনার লোকেশনে টেকনিশিয়ান পাঠানো হয়। এতে আলাদা করে কাউকে খুঁজে বেড়ানোর ঝামেলা থাকে না।
ওয়ারেন্টির পর সার্ভিসিং খরচ কত?
ওয়ারেন্টি শেষ হওয়ার পরও সার্ভিসিং খরচ খুবই যুক্তিসংগত রাখা হয়, যেন গ্রাহকের ওপর বাড়তি চাপ না পড়ে। ঢাকার ভেতরে সার্ভিস চার্জ তুলনামূলক কম। ঢাকার বাইরে হলে সাধারণত যাতায়াত, খাবার আর থাকা-খাওয়ার খরচ যোগ হয়, সঙ্গে সামান্য সার্ভিস ফি। নবারুন ইন্টারন্যাশনাল দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয়, তাই তারা সবসময় চেষ্টা করে খরচ যেন সহনীয় থাকে।
নতুনদের জন্য কন্ট্রোল সিস্টেম কি সহজ?
একদম সহজ। কন্ট্রোল প্যানেল খুবই পরিষ্কার আর বোঝার মতো করে বানানো। তাপমাত্রা বাড়ানো–কমানো, ডিজিটাল মিটারে অবস্থা দেখা সব কিছু কয়েক সেকেন্ডেই করা যায়। যেহেতু এটি অটো তাপমাত্রা কন্ট্রোল সিস্টেম ব্যবহার করে, তাই বেশিরভাগ কাজ নিজে থেকেই হয়ে যায়। নতুন যারা প্রথমবার এমন চিলার ব্যবহার করছেন, তাদের জন্য এটি ভুল কম করে এবং সময় বাঁচায়।
একসাথে বিভিন্ন ধরনের খাবার রাখা যাবে কি?
হ্যাঁ, একসাথে নানা ধরনের খাবার রাখা যায়। মাংস, মাছ, সবজি, সস, মিষ্টি, দুধজাত পণ্য কিংবা রান্না করা খাবার—সবই রাখা সম্ভব। শক্ত দরজা আর দ্রুত ঠান্ডা হওয়ার কারণে খাবার অনেকক্ষণ ভালো থাকে, এমনকি চাপের সময়ও। আপনি ক্যাফে চালান বা বহু ধরনের খাবারের রেস্টুরেন্ট, এই চিলার সব ধরনের স্টোরেজ চাহিদা সামলাতে পারে।
ইভেন্ট, মেলা বা আউটডোর ক্যাটারিংয়ে নেওয়া কতটা সহজ?
এই চিলারের নিচে মসৃণ ও শক্ত চাকা দেওয়া আছে, তাই সরানো খুব সহজ। ক্যাটারিং ইভেন্ট, মেলা বা অস্থায়ী সেটআপে ভারী শ্রম ছাড়াই এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নেওয়া যায়। চলাচলের সময় চিলার স্থির থাকে এবং নতুন জায়গাতেও নির্ভরযোগ্যভাবে কাজ করে। এই কারণেই বাংলাদেশের অনেক ক্যাটারিং ব্যবসায়ী এটি বেছে নেন।
টানা ২৪ ঘণ্টা চালালে কি কোনো সমস্যা হবে?
এই চিলার টানা ২৪ ঘণ্টা চালানোর সক্ষমতা রাখে। চাইলে একটানা চালানো সম্ভব। তবে দীর্ঘদিন ভালো রাখতে হলে মাঝে মাঝে অল্প বিরতি দেওয়া ভালো। অনেকক্ষণ একটানা চললে ভেতরের কিছু যন্ত্রাংশ গরম হতে পারে। যদি দীর্ঘ সময় ব্যবহারের পর ১০–১৫ মিনিট বন্ধ রাখা যায়, তাহলে মেশিন আরও স্বস্তিতে কাজ করে। বাস্তবে বেশিরভাগ রেস্টুরেন্ট দিনে ১২–১৪ ঘণ্টা চালায় এবং এতে কোনো সমস্যাই হয় না।
এই চিলারের সম্পূর্ণ টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন কী?
এই চিলারে ব্যবহার করা হয়েছে দুইটি ভালো মানের সেকপ কম্প্রেসর, যার মোট পাওয়ার প্রায় ১০০০ ওয়াট। বাইরের শরীর ১.২ মিলিমিটার পুরু স্টেইনলেস স্টিলের আর ভেতরের অংশ ০.৬ মিলিমিটার স্টেইনলেস স্টিল দিয়ে তৈরি। ভেতরে আছে ভারী ১১ স্তরের কনডেনসার, ৬টি শক্ত স্টেইনলেস স্টিল রডের তাক এবং শিল্পমানের কপার পাইপিং। বাতাস চলাচলের জন্য রয়েছে তিনটি ১০ ইঞ্চি ফ্যান। তাপমাত্রা দেখার জন্য দুইটি ডিজিটাল মিটার দেওয়া আছে। সাধারণত ০ থেকে ১০ ডিগ্রি তাপমাত্রার মধ্যে স্থিরভাবে কাজ করে, যা রেস্টুরেন্টের জন্য উপযুক্ত।
মোট ধারণক্ষমতা, সাইজ ও ভেতরের জায়গার বিন্যাস কেমন?
এই চিলারের মোট মাপ প্রায় ৭২ ইঞ্চি লম্বা, ৩০ ইঞ্চি চওড়া এবং ৭৮ ইঞ্চি উঁচু। ভেতরের জায়গা খাড়া হওয়ায় অনেক কিছু একসাথে রাখা যায়। স্টেইনলেস স্টিলের তাকগুলো এমনভাবে বসানো যে আলাদা আলাদা ক্যাটাগরিতে খাবার রাখা সহজ হয়। চওড়ায় কম কিন্তু উচ্চতায় বেশি হওয়ায় বেশিরভাগ রান্নাঘরে সহজেই বসে যায়। এতে রান্নাঘর গুছানো থাকে এবং ব্যস্ত সময়ে এলোমেলো কম হয়।
এই কমার্শিয়াল আপরাইট সলিড ডোর চিলার কীভাবে পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করবো?
এই চিলার পরিষ্কার রাখা খুবই সহজ। বাইরের স্টেইনলেস স্টিলের অংশ হালকা ডিটারজেন্ট দিয়ে মুছে নিলেই হয়। ভেতরের তাকগুলো সপ্তাহে অন্তত একবার পরিষ্কার করা ভালো। মাসে একবার কনডেনসারে ধুলা জমেছে কি না দেখে নেওয়া উচিত। খুব শক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার না করাই ভালো। নিয়মিত সাধারণ যত্ন নিলে এই চিলার বহু বছর ভালোভাবে কাজ করে। প্রয়োজনে আমাদের টেকনিশিয়ানরাও রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
সার্ভিসিংয়ের জন্য কি টেকনিশিয়ান পাঠানো হবে, নাকি মেশিন নিয়ে আসতে হবে?
এটা সমস্যার ধরন অনুযায়ী নির্ভর করে। যদি সমস্যা জটিল হয় বা মেশিন সরানো কষ্টকর হয়, তাহলে টেকনিশিয়ান আপনার লোকেশনে পাঠানো হয়। আর যদি ছোট বা সাধারণ সার্ভিসিংয়ের বিষয় হয়, তাহলে ওয়ার্কশপে নিয়ে এলে দ্রুত সমাধান করা যায়। নবারুন ইন্টারন্যাশনাল সবসময় গ্রাহকের সুবিধাকে অগ্রাধিকার দেয় এবং যে উপায়টা সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর, সেটাই বেছে নেয়।
এই চিলারে কি কোনো অটোমেটিক সেফটি ফিচার আছে?
হ্যাঁ, এই চিলারে একাধিক অটোমেটিক সুরক্ষা ব্যবস্থা আছে। তাপমাত্রা নিজে থেকেই নিয়ন্ত্রণ হয়, অতিরিক্ত চাপ পড়লে ওভারলোড প্রটেকশন কাজ করে এবং কম্প্রেসরের নিরাপত্তার জন্য আলাদা ফাংশন থাকে। এতে অতিরিক্ত গরম হওয়া বা হঠাৎ নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। ব্যস্ত রান্নাঘরে এই অটোমেটিক সেফটি ফিচারগুলো অনেক বড় স্বস্তি দেয়।
দীর্ঘমেয়াদি কমার্শিয়াল ব্যবহারে এই চিলার কতটা টেকসই?
এই চিলার দীর্ঘদিন ব্যবহারের কথা মাথায় রেখেই তৈরি। শক্ত স্টেইনলেস স্টিলের বডি, দুইটি কম্প্রেসর আর ভারী ভেতরের যন্ত্রাংশ একে অনেক টেকসই করে তুলেছে। বাংলাদেশের গরম রান্নাঘরে বছরের পর বছর ব্যবহার করার মতো করে বানানো। সাধারণ যত্ন নিলে অনায়াসে ৫ বছর বা তার বেশি সময় ব্যবহার করা যায়। এর পরেও যদি কখনো যন্ত্রাংশ বা সাপোর্ট দরকার হয়, নবারুন ইন্টারন্যাশনাল সেই সহায়তা দিয়ে থাকে।
প্রতি ঘণ্টায় এই চিলার কত বিদ্যুৎ খরচ করে?
এই চিলারটি প্রতি ঘণ্টায় আনুমানিক ১০০০ ওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহার করে, অর্থাৎ প্রায় ১ ইউনিট। এখন যদি আমরা বাংলাদেশের গড় বিদ্যুৎ খরচ ধরে হিসাব করি, তাহলে চিত্রটা এমন দাঁড়ায়
প্রতি ঘণ্টায় খরচ হয় প্রায় ১৪.৫ টাকা।
দিনে যদি ১২ ঘণ্টা চালানো হয়, তাহলে আনুমানিক ১৭৪ টাকা।
এক সপ্তাহে খরচ দাঁড়ায় প্রায় ১,২১৮ টাকা।
আর এক মাসে মোটামুটি ৫,২২০ টাকার মতো।
অবশ্য আপনার এলাকার মিটার আর বিদ্যুৎ রেটের ওপর এই খরচ একটু কমবেশি হতে পারে।
এই চিলার কি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও খরচ কমায়?
হ্যাঁ, অবশ্যই। যদিও চিলারটি শক্তিশালী এবং কমার্শিয়াল কাজে ব্যবহারের জন্য বানানো, তবুও এটি অনেক সাধারণ কমার্শিয়াল চিলারের তুলনায় বিদ্যুৎ কম খরচ করে। দুইটি কম্প্রেসর খুব দক্ষভাবে কাজ করে, অকারণে অতিরিক্ত চাপ নেয় না। ফলে বিদ্যুৎ অপচয় কম হয়। দীর্ঘমেয়াদে এতে মাসিক বিল কম আসে এবং ব্যবসার মোট খরচ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
এই চিলার কি ব্যবসার লাভ বাড়াতে সাহায্য করে?
হ্যাঁ, সরাসরি সাহায্য করে। খাবার সবসময় ভালো থাকলে খাবারের মান ভালো হয়, কাস্টমারের অভিযোগ কমে। খাবার নষ্ট হওয়ার হার কম থাকায় প্রতিদিনের অপচয় কমে যায়। ঠান্ডা ঠিক থাকায় একসাথে বেশি উপকরণ রাখা যায়, বিশেষ করে ব্যস্ত সময়ে। অনেক রেস্টুরেন্ট মালিক বলছেন, এই চিলার ব্যবহার করার পর কাজের গতি বেড়েছে এবং চাপ অনেক কমেছে। রান্নাঘর ঠিকঠাক চললে ব্যবসাও স্বাভাবিকভাবেই ভালো চলে।
বাংলাদেশি ব্যবসার পরিবেশের জন্য কি এই চিলার উপযোগী?
একদমই উপযোগী। এই চিলার বাংলাদেশের গরম ও আর্দ্র পরিবেশ মাথায় রেখেই ডিজাইন করা। শক্ত ইনসুলেশন, সলিড দরজা আর ভারী কনডেনসারের কারণে বাইরের তাপমাত্রা যতই বেশি হোক, ভেতরের ঠান্ডা ঠিক থাকে। আপনি ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট কিংবা জেলার কোনো এলাকায় ব্যবসা করুন না কেন এই চিলার নির্ভরযোগ্যভাবে কাজ করবে।
সারা বাংলাদেশে কি ডেলিভারি পাওয়া যাবে?
হ্যাঁ, নবারুন ইন্টারন্যাশনাল সারা বাংলাদেশেই ডেলিভারি দিয়ে থাকে। ডেলিভারির সময় নির্ভর করে পণ্যের কাস্টমাইজেশন আর অর্ডারের আলোচনার ওপর। প্যাকেজিং নিরাপদ রাখা হয়, পরিবহনও সতর্কতার সাথে করা হয়। অর্ডার নেওয়া থেকে ডেলিভারি পর্যন্ত পুরো সময়জুড়ে যোগাযোগ রাখা হয়, যেন আপনার ব্যবসায় কোনো দেরি না হয়।
এই মডেলের ওয়ারেন্টি ও আফটার সেলস সাপোর্ট কেমন?
এই চিলারের সাথে স্ট্যান্ডার্ড ওয়ারেন্টি দেওয়া হয়। ওয়ারেন্টি শেষ হলেও সাপোর্ট বন্ধ হয় না। নবারুন ইন্টারন্যাশনাল পরবর্তী সময়েও কম খরচে সার্ভিসিং ও আসল যন্ত্রাংশ সরবরাহ করে। তাদের মূল লক্ষ্য হলো—আপনার ব্যবসা যেন কোনো কারণে বন্ধ না থাকে। দ্রুত সাড়া দেওয়া আর সমস্যার সমাধান করাই তাদের শক্ত দিক।
এই কমার্শিয়াল রেফ্রিজারেটরের সম্ভাব্য আয়ু কত?
সঠিকভাবে ব্যবহার ও নিয়মিত পরিষ্কার রাখলে এই চিলার সহজেই ৫ বছর বা তার বেশি সময় ব্যবহার করা যায়। অনেক গ্রাহক আরও দীর্ঘ সময় ব্যবহার করছেন, শুধু মাঝেমধ্যে সার্ভিসিং করিয়েই। অনেক বছর পরেও যদি কোনো যন্ত্রাংশ বা টেকনিক্যাল সাপোর্ট দরকার হয়, নবারুন ইন্টারন্যাশনাল সেই সহায়তা দিয়ে থাকে।
ইনস্টলেশন সাপোর্ট কি দেওয়া হয়? খরচ আছে কি?
হ্যাঁ, প্রয়োজন হলে ইনস্টলেশন সাপোর্ট দেওয়া হয়। ইনস্টলেশনের খরচ জায়গা, দূরত্ব আর সেটআপের ধরন অনুযায়ী নির্ভর করে। তবে সব খরচ আগেই পরিষ্কারভাবে জানানো হয়। মেশিন ঠিকভাবে বসানো, সমান করা এবং ব্যবহার উপযোগী করে দেওয়া হয়—যাতে আপনি কোনো দুশ্চিন্তা ছাড়াই কাজ শুরু করতে পারেন।
বাংলাদেশে এই চিলারের আনুমানিক দাম কত?
এই পণ্যের দাম বাজার পরিস্থিতি, স্টক এবং আন্তর্জাতিক দামের ওপর নির্ভর করে কিছুটা ওঠানামা করে। বর্তমানে বাংলাদেশে কমার্শিয়াল আপরাইট সলিড ডোর চিলার-এর শুরু দাম প্রায় ১,৯০,০০০ টাকা। ফিচার, স্পেসিফিকেশন আর কাস্টমাইজেশনের ওপর ভিত্তি করে দাম কম বা বেশি হতে পারে।
Categories
সুপারশপের র্যাক
কমার্শিয়াল কিচেন ইকুইপমেন্ট
রেস্টুরেন্ট ইকুইপমেন্ট
কার পার্কিং ম্যানেজমেন্ট
ডিজিটাল গেট সিস্টেম
মেটাল ডিটেকটর সিস্টেম
রোড সেফটি প্রোডাক্টস
সুপারশপ ফ্রিজ
সুপারশপ ইকুইপমেন্ট
স্পেশাল প্রোডাক্টস
স্লটারহাউজ ইকুইপমেন্ট
কোল্ড স্টোরেজ সমাধান
Product Tags